সুবর্ণজয়ন্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তিন উদ্যোগ
২১ মার্চ ২০২১ ১৪:১০ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২১ ১৬:১১
ঢাকা: সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অফিস আদেশ ন্যাশনাল আর্কাইভে রাখা, সরকারের কেন্দ্রীয় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শতভাগ নিশ্চিতকরণ—এই তিন উদ্যোগ বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
জানা গেছে, সরকারের নেওয়া ২৫ বছর আগের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের নথি ন্যাশনাল আর্কাইভ করতে চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে লক্ষে কাজ শুরু করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার প্রতিশ্রুত সেবা, সেবাদান এবং পণ্যের মান সম্পর্কে ব্যক্তির অসন্তোষ বা মতামত দেওয়ার সুযোগ আগে থেকেই ছিল মন্ত্রিপরিষদে। কিন্তু সেসব বিষয় তেমন গুরুত্ব পেত না। এখন থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েসবাইটে অভিযোগ বা মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকছে। অভিযোগ দাখিলের পর এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। তবে লগ ইন না করে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযোগ দাখিল করলে পরবর্তীতে তথ্য পাওয়া যাবে না। এ কাজে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহানাজ আরেফিন মনিটর করবেন।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ)। এটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটা সমঝোতা দলিল। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়গুলো নিজেদের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করে থাকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চায়। মন্ত্রিপরিষদের যুক্তি, এতে সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়বে। পাশাপাশি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়বে। সরকারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত উদযাপন কমিটির নেওয়া কর্মসূচীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত। এই তিনটি উদ্যোগ অতিরিক্ত হিসেবেই নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দেবদাস নাগ এই উদ্যোগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। এসব বিষয়গুলো আরো গতিশীল করার চেষ্টা করছি, দেখা যাক কতদূর করা যায়।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ