জানালা দিয়ে চিরকুট ফেলে মুক্ত হলো ৪ কিশোরী-তরুণী
২০ মার্চ ২০২১ ২০:০০ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২১ ২০:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরী ও দুই তরুণীসহ চার জনকে জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিম্মি দুই কিশোরী তাকে মুক্ত করার আকুতি জানিয়ে জানালা দিয়ে চিরকুট ফেলেন। সেটা পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে একই এলাকায় আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই বাসার মালিককে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাতে নগরীর বিশ্ব ব্যাংক আবাসিক এলাকার ডি-ব্লকে কোহিনূর প্লাজা এবং নতুন মনসুরাবাদে নুর নবী হাউসে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
গ্রেফতার নুর নবী (৫২) নতুন মনসুরাবাদ এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে। ঘটনায় জড়িত দম্পতি আব্দুল আলী সুমন ও আমেনা বেগমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি জহির হোসেন সারাবাংলাকে জানান, গত এক বছরের মধ্যে কোহিনূর প্লাজার পঞ্চম তলায় এবং নুরনবী হাউসের তৃতীয় তলায় দুটি বাসা ভাড়া নেন ওই দম্পতি। দুই বাসায় তারা কিশোরী-তরুণীদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতো। কোহিনুর প্লাজার মালিক বিষয়টি না জেনে ভাড়া দেন। তবে নুর নবী জেনেই বাসা ভাড়া দেন। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চারজনকে উদ্ধারের বর্ণনা দিয়ে ওসি জহির বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে কোহিনূর প্লাজার বাসায় আটক দুই কিশোরী জানালা দিয়ে রাস্তায় একটি চিরকুট ফেলেন। সেখানে লেখা ছিল- আমাদের বাঁচান। পথচারীরা সেটি পেয়ে থানায় খবর দেন। আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করি। তাদের বয়স ১৪ বছর। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। তারা জানান যে- নুর নবী হাউসের একটি বাসায় আরও দু’জন জিম্মি আছেন। আমরা সেখানে অভিযান চালাই। দুই তরুণীকে উদ্ধার করি। দুটি বাসা বাইরে থেকে তালা দিয়ে সুমন ও আমেনা বাইরে গিয়েছিল। আমরা তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করি।’
এ ঘটনায় নুর নবী ও পলাতক সুমন-আমেনার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই