একই সড়কে ৩ ঘণ্টায় ৩ দুর্ঘটনা, নিহত ৪
২০ মার্চ ২০২১ ১৩:২৪ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৯
বগুড়া: ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলায় তিন ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে চালক ও সুপারভাইজারসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন।
নিহতরা হলেন- রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার কারফিখার এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে সৃষ্টি বাসের চালক রওশন (৩৫), নিলফামাড়ীর ডিমরা থানার খোকার খড়িবাড়ী এলাকার সিরাজুলের ছেলে রেজাউল করিম সাগর (২৩), একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে মোস্তফা (১৮) ও পশ্চিম শাওতা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে বাবলু (৫০)।
শুক্রবার রাত দুইটা থেকে শনিবার (২০ মার্চ) ভোর সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত দশমাইল, ছোনকা ও ঘোগা বটতলা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল এলাকায় পৌঁছালে বগুড়াগামী সৃষ্টি পরিবহনের অন্য একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িগুলো দুমড়েমুচড়ে সৃষ্টি পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজার ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুই বাসের সাত যাত্রী আহত হন। পরে গুরুতর আহত দুইজনকে আশষ্কাজনক অবস্থায় শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স রতন হোসেন জানান, নিহতদের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ের ছোনকা এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক ঘুমের মধ্যে পিকআপের পেছনে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে ছয়জন আহত হন। আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এরও আগে ভোর চারটার দিকে ঘোগা ব্রিজের সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মাঝে উল্টে চালক ও হেলপার আহত হয়েছেন। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি দুর্ঘটনায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ীগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সারাবাংলা/এএম