Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশুদ্ধ পানির সংকটে তাহিরপুর সীমান্তের ৮টি গ্রাম

আল হাবিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ ২০২১ ২০:০৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২১ ২১:৩২

সুনামগঞ্জ: সমতলে পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলেও সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি অঞ্চলে বারেক টিলা, মাঝের টিলা, চানপুর টিলাসহ সীমান্তের ৮টি গ্রামে এখনো বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত নয়। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে যখন পানি সংকট দেখা দেয়। তা নিয়ে গণমাধ্যমসহ সর্ব ক্ষেত্রে হৈচৈ পড়ে যায়। কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চল গুলোর বাসিন্দারা দিনের পর দিন পানি সংকটে ভুগছেন। তাদের পানি সংকটের কথা সহজে গণমাধ্যমে উঠে আসে না কোনো দিন।

বিজ্ঞাপন

পাহাড়, নদী, ঝিরি ও বিশাল হাওর জুড়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা। প্রাকৃতিক সম্পদ আর সৌন্দর্যে ভরপুর তাহিরপুর উপজেলা হাওর কন্যা বলেও পরিচিত। তাছাড়া পর্যটন স্পষ্ট হিসেবেও সুপরিচিত এ উপজেলা। হাওর আর পাহাড়ের দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পাহাড়ের জীবন কঠিন। সীমান্ত অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা পাহাড় ও টিলা ভূমি নিয়ে গঠিত। সমতলে যারা বসবাস করেন তারা পানি সংকটে সচরাচর তেমন একটা পড়ে না। আবার পাহাড়ে ঝর্ণা, পাহাড়ি নদী এসব উৎস থাকলেও সবসময় সেখানে পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানি পাওয়া যায় না। ফলে সীমান্ত এলাকার টিলার উপর বাসবাসরত ৮টি গ্রামের প্রায় এক হাজার ৬০০ বাঙালি ও আদিবাসী বিশুদ্ধ পানি সংকটে দিনযাপন করছেন।

বিজ্ঞাপন

গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র পানি সংকট দেখা দেয় তাহিরপুর উপজেলার টিলা গুলোতে। পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুর্গম পাহাড়ি টিলা গুলোতে বসবাসরত পল্লীগুলোতে নিরাপদ সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন রকম পানিবাহিত রোগ হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিনই উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের অঅবস্থিত সীমান্ত ঘেঁষে পর্যটন স্পষ্ট খ্যাত বারেকটিল(বারিক্কা টিলা), মাঝের টিলা, চানপুর টিলার সৌন্দর্য দেখতে আসা হাজার দেশ-বিদেশের পর্যটকদেরও বিশুদ্ধ পানির অভাবে সীমাহীন দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব টিলায় বসবারত গ্রামগুলোতে তীব্র পানি সংকট দেখা যায়। যার কারণে এসব এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা হেঁটে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

বেশির ভাগ পানিই তারা পাহাড়ি টিলার ঝিরি ঝর্ণা থেকে সংগ্রহ করার পরে পানি নিরাপদ না হওয়ার ফলে জীবন ঝুঁকি নিয়ে পানি সংকট মোকাবিলা করতে বাধ্য সবাই। এমতাবস্থায় বিশুদ্ধ পানির সমস্যার সমাধান জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে কাছের ঝিরি, ঝর্ণার পানি শুকিয়ে যাওয়াতে পানির জন্য তাদের দূরের পথ পাড়ি দিতে হয়।

তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলায় বসবাসরত আনন্দপুর গ্রামের আদিবাসী নেতা ও ট্রাইব্যাল চেয়ারম্যান পুলক আজিম জানায়, তাদের এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। শুকনো মৌসুমে পাহাড়ি জাদুকাটা নদীর পানির ওপর নির্ভর করে গ্রামের মানুষ পানির চাহিদা পূরণ করে। বর্ষাকালে নদীর পানি ঘোলা হয়ে গেলে তাদের খাবার পানির সংকট বেড়ে যায়। শুধু বারেকটিলা নয়! সীমান্তে বেশ কয়েকটি টিলার উপর বসবাসরত গ্রামগুলোর মানুষরা এখন পর্যন্ত ‘পানির অপর নাম জীবন’- এ শব্দটির সঙ্গে লড়াই করে চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, বারেকটিলায় পাথরের জন্য টিউবওয়েল বসানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সেখানে টিউবওয়েল বসানো যাচ্ছে না। তবে পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখব, কিভাবে বিশুদ্ধ পানি সংকট সমাধান করা যায়।

সারাবাংলা/এনএস

টপ নিউজ পাহাড়ি অঞ্চল বিশুদ্ধ পানি সীমান্ত এলাকা সুনামগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর