Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্যাতনের অভিযোগে কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ মার্চ ২০২১ ১৫:০৯ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ১৫:৪৩

কার্টুনিস্ট কিশোর, ফাইল ছবি

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর নির্যাতনের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করে মামলার আবেদন করেছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন। তবে মামলার আবেদনে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউট তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১৬-১৭ জন সাদা পোশাকধারী লোক কাকরাইলের বাসা থেকে জোর করে কিশোরকে হাতকড়াসহ মুখে মুখোশ পরিয়ে অজানা নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে যায়।

কিশোর এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, বিকেলে বাসার কলিংবেল বাজার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভাঙে। দরজা খুলতেই অপরিচিত একজন বলল, দরজা খোলেন না কেন? লুঙ্গি পরিবর্তন করে প্যান্ট পড়ে নেন, সঙ্গে একটা ভালো শার্ট। আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমাকে কিছুই বলেনি। ঘরে ঢুকেই তারা তল্লাশি শুরু করে। আমাকে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি। আমার বাসা থেকে আমার মোবাইল, সিপিইউ, পোর্টেবল হার্ডডিস্কসহ যত ডিজিটাল ডিভাইস ছিল সবই তারা অবৈধভাবে নিয়ে যায়। আমাকে যখন হাতকড়া পড়িয়ে বাসার নিচে নামিয়ে আনা হয় তখন বাসার সামনে ৬-৭ টি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। এরপর আমাকে একটি গাড়িতে ওঠানো হয়। আমার বাসার সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল । আমি তখন প্রচণ্ড জোরে জোরে চিৎকার করি। কিন্তু গাড়িতে অনেক বড় শব্দ করে গান বাজানো হচ্ছিল। তাই হয়ত আমার চিৎকারের শব্দ বাইরে শোনা যায়নি। পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারলাম আমাকে একটি পুরানো এবং স্যাঁতস্যাঁতে বাড়ির ভিতরে আনা হয়েছে। গাড়ির হর্নের শব্দ পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর প্রজেক্টরে একের পর এক কার্টুন দেখিয়ে সেগুলোর মর্মার্থ জানতে চাওয়া হয়। করোনা নিয়ে আমার আঁকা কিছু কার্টুন দেখিয়ে কেন এঁকেছি এবং কার্টুনের চরিত্রগুলো কারা প্রশ্ন করা হয়। একপর্যায়ে প্রচণ্ড জোরে আমার কানে থাপ্পড় মারে। কিছুক্ষণের জন্য আমি বোধশক্তিহীন হয়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম আমার কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তারপর স্টিলের পাত বসানো লাঠি দিয়ে পায়ে পেটাতে থাকে। যন্ত্রণা এবং ব্যথায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলাম।
এভাবে কয়েক দফা আমার ওপর শারীরিক এবং মানসিক টর্চার অত্যাচার চালায়। পরবর্তীতে আমি নিজেকে র‍্যাবের কার্যালয়ে দেখতে পাই। র‍্যাবের কার্যালয়ে মুশতাক আহমেদের সঙ্গে দেখা হয়। মুশতাক আহমেদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় সে আমাকে জানায় তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৬ মে আমাদেরকে রমনা থানায় পাঠানো হয়। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, কান দিয়ে পুঁজ পড়ে, হাঁটতে গেলে হঠাৎ করে পড়ে যাই এবং শরীরে আরো বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

কার্টুনিস্ট কিশোর টপ নিউজ নির্যাতনের অভিযোগ মামলার আবেদন

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর