‘বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’
৭ মার্চ ২০২১ ১৮:০০
ঢাকা: বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনকে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা ঘোষণার পাঠককে ঘোষক বানাতে চায়। ঘোষক আর ঘোষণার পাঠক এক জিনিস হয় না। সে কারণে তারা সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি দিয়েছে স্টান্টবাজি করার জন্য। জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
রোববার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। তার আগে সকাল সাতটায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে এক ভিন্নমাত্রায় ভিন্ন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে এবারকার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির ২৩ বছরের স্বাধিকার সংগ্রাম রূপান্তরিত হয় স্বাধীনতার সংগ্রামে। সেদিন বাঙালি জাতি এই ভাষণের মধ্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘যারা নতুন করে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, যারা ৭ই মার্চকে নিষিদ্ধ করেছিল, ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল, আজ তারা সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জাগরণের ঢেউ দেখে ভীত হয়েছে। সেজন্য তারা রাজনৈতিক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ৭ই মার্চ পালন করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের এই সুবর্ণজয়ন্তী প্রোগ্রাম আসলে একটা রাজনৈতিক স্টান্টবাজি । তারা স্বাধীনতার ফুটনোটকে ইতিহাসের মহানায়ক বানাতে চায়। তারা ঘোষণার পাঠককে ঘোষক বানাতে চায়। ঘোষক আর ঘোষণার পাঠক এক জিনিস হয় না। সে কারণে তারা সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি দিয়েছে স্টান্টবাজি করার জন্য, জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য।’ এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনিমার্ণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম