হাজতি নিখোঁজ: জেলার প্রত্যাহার, কারারক্ষী বরখাস্ত
৭ মার্চ ২০২১ ১৪:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুনের মামলার আসামি এক হাজতি নিখোঁজের ঘটনায় জেলার ও ডেপুটি জেলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনা তদন্তের তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) এ কে এম ফজলুল হক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কারা মহাপরিদর্শক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম এবং ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন। জেলারকে কারা অধিদফতরে এবং ডেপুটি জেলারকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত করা হয়েছে সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. নাজিম উদ্দিন ও কারারক্ষী মো. ইউনুসকে। এছাড়া সহকারী প্রধান কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিআইজি-প্রিজন ফজলুল হক আরও জানান, বন্দি নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে প্রধান করা হয়েছে খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগির মিয়াকে। অন্য দুই সদস্য হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নিখোঁজ হাজতি মো. ফরহাদ হোসেন রুবেল নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মীরেরকান্দি গ্রামের শুক্কুর আলী ভাণ্ডারির ছেলে। রুবেল নগরীর সদরঘাট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার আসামি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
ফরহাদ হোসেন রুবেল কারাগারের পঞ্চম তলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। শনিবার ভোর থেকে তাকে খুঁজে না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান।
এরপর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো.রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে হাজতি রুবেল উধাও হয়ে যান। এরপর বিভিন্নভাবে তল্লাশি করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/আরডি/এএম