Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্পিকার-মন্ত্রীর তদবির না শোনায় তারা রুষ্ট হয়েছেন’

সিনিয়র করেপসন্ডেন্ট
৫ মার্চ ২০২১ ০৯:৪৯ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২১ ১০:৫৫

ঢাকা: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, স্পিকার থেকে শুরু করে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন কোনো লোক বাদ নেই যাদের তদবিরের পর বলেছি যে, আমি এটা করবো না। এসব তদবির না শোনায় তারা রুষ্ট হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বেরোবি ক্যাম্পাসের চরিত্র হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদের শেষ ছয় মাস অরাজক একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। তবে আমার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই সেই চেষ্টা চালানো হয়েছে। বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাতে আমি মাথা নত করিনি।

উপাচার্য বলেন, আমাদের যতগুলো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে তাতে একটি ক্লজ যুক্ত করে দিয়েছি। যেকোনো ধরনের লিখিত ও মৌখিক তদবির প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। আর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমনভাবে উল্লেখ আছে বলে আমার জানা নেই।

কলিমউল্লাহ বলেন, লিখিত তদবির বলতে বুঝি ডিও লেটার, যেটা মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধিরা দিয়ে থাকেন। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, একটা ডিও লেটারও আমি অনার করিনি। লিখিত তদবির হিসেবে ট্যাক্সট ম্যাসেজ হতে পারে। আর মৌখিক তদবির অর্থাৎ অর্ডার অব মাউথ প্রতিটাই আমি ডিজঅনার করেছি। একটিও নজির নেই যেটা অনার করেছি। এজন্য অনেকে আমার ওপর মন খারাপ করেছেন। স্পিকার থেকে শুরু করে জেষ্ঠ্য মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন কোনো লোক বাদ নেই যাদেরকে সবিনয়ে বলেছি যে, আমি এটা করবো। বিভিন্ন তদবির না শোনায় মূলত তারা রুষ্ট হয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, কারও তদবির তুমি শুনবে না। আই রিলিজিয়াসলি মেইনটেইন দ্যাট। আমার ওপর লোকের রুষ্ট ও প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণ এটি।

বিজ্ঞাপন

বেরোবি উপাচার্য বলেন, আমি যে কাজটা করেছি, একটা অ্যানালগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছি। যার সুফল আমরা ভোগ করতে শুরু করেছি। করোনাকালে প্রতিটি বিভাগে একটি করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করেছি। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই করেছি। যত আধুনিকতম প্রযুক্তি রয়েছে তার সবই করেছি। এসব করতে গিয়ে অনেকে আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি রংপুরে কিন্তু ভোট করতে যাইনি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাঠিয়েছেন, এই বেহাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ট্র্যাকে নিয়ে আসার জন্য। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, যে যত বেশি সমালোচনা করবে তত বেশি পরিচিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ

টপ নিউজ বেরোবি উপাচার্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর