যা করেছি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে করেছি: কলিমউল্লাহ
৪ মার্চ ২০২১ ১৫:০৬ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২১ ১৭:২৪
ঢাকা: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বর্তমান অবস্থার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি এ পর্যন্ত যা করেছি তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে করেছি।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেরোবি’র বর্তমান অবস্থার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে দায়ী করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে আমি খুব খোলামেলাভাবে কথা বলব এবং দায়িত্ব নিয়ে বলব। আজকের এই পরিস্থিতি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং আস্কারায় হয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আমরা যখন দেখা করতে যাই, উনার সকাল ১০টায় আসার কথা থাকলেও উনি এসে হাজির হন বিকাল ৪টায়। তার জন্য আমাদের পুরোটা দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-
- বেরোবির পরিস্থিতির জন্য দায়ী শিক্ষামন্ত্রী: কলিমউল্লাহ
- ঘেরাও কর্মসূচি থেকে বাঁচতে ঢাকায় সিন্ডিকেট সভা করি: কলিমউল্লাহ
তিনি বলেন, এটি ছিল অসৌজন্যমূলক আচরণ। পরবর্তী সময়েও এই মনোভাব আমরা দেখেছি। যত বার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রোড়পত্রের জন্য উনার বাণী আমরা চেয়েছি, কোনোবারই তা পাইনি।
নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছ থেকে যতবারই আমরা বাণী চেয়েছি, তখনই পেয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কখনো প্ররোচিত হননি, প্রধানমন্ত্রী কখনো প্ররোচিত হননি, কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা সবসময় অবজ্ঞা পেয়েছি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর যা ঘটেছে সবকিছু শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ও আনুকূল্যে। তা না হলে এরকম ন্যাক্কারজনক একটি পরিস্থিতি তৈরি হত না। আমি কখনও সত্যি কথা বলতে দ্বিধা বোধ করিনি, পিছপা হইনি। আমার পরিণতি জেনেই আমি আজ কথা বলতে এসেছি।ৎ
বেরোবি উপাচার্য আরও বলেন, আমি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সময়ও কাজ করেছি। তখন কিন্তু এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তথাকথিত সুরক্ষা পরিষদ নাম দিয়ে হাতগোনা ২০-২৫ জন লোক যারা শিক্ষামন্ত্রীর আস্কারায়, আশ্রয়ে- প্রশ্রয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। এই ধরনের অপরাজনীতি করা যায় না শিক্ষাঙ্গনে।
এটা কেন করা হয়েছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে কোনো কারণে তিনি আমায় ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করেন অথবা আমি যে ধারায় কাজ করি সেটা তার পছন্দ না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমি কারও তদবির একসেপ্ট করি না। বিষয়টা হচ্ছে কলঙ্কলেপন করা, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে না। এরকম মাইন্ডসেট নিয়ে পবিত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা ঠিক হচ্ছে না।
আপনি কি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সেটি ভিসি হিসেবে চাইতে পারি না।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ