‘করোনা যখন পারেনি তখন আর কেউ থামাতে পারবে না’
৪ মার্চ ২০২১ ১২:৪৩ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২১ ১৭:২০
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। করোনাভাইরাস যখন পারেনি তখন আর কেউ পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) সকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞানশিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ এবং গবেষণা-অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যার শুভ ফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষ পাবে। আমাদের সিদ্ধান্ত মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। ভূমিহীন-গৃহহীনদের আমরা ঘর করে দেবো। খুব সফলভাবে সে কাজটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার দেশ। আমরা প্ল্যান করে দিয়ে যাচ্ছি। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন ২০১০ থেকে ২০২০ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে সেই সুর্নিদিষ্ট লক্ষ্যে পুরো কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও করে দিয়ে গেলাম। এর ওপর ভিত্তি করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এখানেই থেমে নেই। আমরা ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশ একটা বদ্বীপ। এই ডেল্টা অঞ্চলকে একদিকে যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে, অপরদিকে আমাদের উন্নয়নের গতিটা অব্যাহত রাখতে হবে। এই ছোট ভূখণ্ডকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। করোনাভাইরাস যখন পারেনি তখন আর কেউ পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতাই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা বিশ্বে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মর্যাদা পেয়েছি। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেবো।’
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশীপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী, ফেলো, গবেষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে গবেষণার মধ্যে দিয়েই উৎকর্ষতা অর্জন করা যায় এবং বিজ্ঞান আমাদের পথ দেখায় বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম