Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা: ৮ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ মার্চ ২০২১ ১২:১২

ঢাকা: ২০০৮ সালের ২৫ জুন রাজধানীর তুরাগ থানার নলভোগ এলাকায় আলেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সাত্তার, আব্দুস জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর ও তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু।

একই সঙ্গে এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হব।

রায়ে আসামি সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল এবং ফিরোজ মিয়াকে পৃথক দুই ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া মামলাতে বারেক, মোস্তফা, মো. ওমর আলীর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ঠিক করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৫ জুন সকাল ১১টার দিকে তুরাগ থানাধীন নলভোগ গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরা আলেক মিয়ার বাড়িতে আসামিরা লোহার রড, রামদা, হকি স্টিক, শাবল, চাইনিজ কুড়ালসহ প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত অন্যাদের মারতে শুরু করে।

ভয়ে আলেক মিয়া বাড়ীর ছাদে যান। আসামি সমর আলী ও তমিজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে আলেক মিয়াকে জাপটে ধরেন। আলাল, রাজ্জাক, জয়নাল রড দিয়ে তার মাথায়, শরীরে আঘাত করেন। সাত্তার শাবল দিয়ে ভিকটিমের কানের নিচে আঘাত করে। গুরুতর আহত আলেক মিয়া ছাদে পড়ে যান। এরপরও জব্বার এবং আউয়াল তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। আলেক মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই হাজী মো. রমজান আলী তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন, আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দস সাত্তার, আব্দুস জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু, সমর আলী ওরফে সমর, মোস্তফা, ওমর আলী, আ. বারেক, সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল ও ফিরোজ মিয়া।

২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়।

মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

টপ নিউজ যাবজ্জীবন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর