Sunday 12 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫ ধর্ষণ মামলা, হাইকোর্টে প্রতিবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২১ ১৫:৪৩ | আপডেট: ৩ মার্চ ২০২১ ১৯:২০

ঢাকা: সারাদেশের থানাগুলোতে গত পাঁচ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩৩১টি, ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬৮৩টি, ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৬৯৫টি, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৭৬৬টি ও ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ২২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মো. রেজাউল করিমের সই করা এই প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল। রিটের পক্ষে ছিলেন ইয়াদিয়া জামান ও শাহীনুজ্জামান শাহীন।

বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল।

প্রতিবেদনে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরকে প্রধান করে তিন সদস্যর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদ-মর্যাদার নিচে নয়)।

রিটের পক্ষের আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেছন আদালত।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২১ অক্টোবর ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিস্পত্তি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে মনিটরিং করতে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিস্পতি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা কঠোরভাবে যেন পালন করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া রিটে গত ১০ বছরে সারাদেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে তার তথ্য জানাতে বলা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

গত ১৩ অক্টোবর ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই

টপ নিউজ ধর্ষণ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর