সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
২ মার্চ ২০২১ ১৫:৪৫
মানিকগঞ্জ: সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সোমবার দিবাগত রাতে মিরুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সিংগাইর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও ফারুক হোসেনের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুর ফারুক এবং তাদের সহযোগীরা ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তার সহযোগীরা ফারুক হোসেনকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়মণ্ডপ এলাকায় একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে মোটর সাইকেলে উপজেলা সদরের বাড়িতে ফিরছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন। রাত একটার দিকে সিঙ্গাইর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে দুলাল ও তার ভাই জালাল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এরপর তারা ফারুককে ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আহত অবস্থায় ফারুককে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে তিনি মারা যান।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দুলাল ও জালাল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফারুককে হত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করা হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, কিলিং মিশনে দুইটি সিএনজিতে থাকা পৃথক ৬ জন অংশ নেয়। খুনের মোটিভ নিশ্চিত হলেও এখনো কেউ মামলা করেনি। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনো কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহিৃত করতে এরই মধ্যে মাঠে পুলিশি অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।