সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা জানতে চান হাইকোর্ট
১ মার্চ ২০২১ ১০:৫০ | আপডেট: ১ মার্চ ২০২১ ১২:০০
ঢাকা: সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও নাগরিকের মধ্যে কার কত টাকা আছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। আবেদনের পক্ষে কাইয়ুম খান নিজেই, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।
আদালত আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করাহয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মুসা বিন শমসের। এ ছাড়া সুইস ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ওস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউসহ সংশ্লিস্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএফআইইউকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেটা করছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম