Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে চায় সব রিক্রুটিং এজেন্সি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২০

ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মালেশিয়ার শ্রমবাজার খোলার পথে রয়েছে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে চায় সব রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট চাচ্ছে যেন তাদের মাধ্যমেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি হয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্য সকল রিক্রুটিং এজেন্সি। তারা সিন্ডিকেটের হাতে মালেশিয়ার শ্রম বাজার তুলে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় যখন শ্রমবাজার খোলার পথে রয়েছে তখন ঢাকা ও কুয়ালালামপুরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এদিকে কুয়ালালামপুরের পক্ষ থেকে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি ও বেস্টিনেট কোম্পানির মালিকানাধীন এফডব্লিউসিএমএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সি এর বিরোধীতা করছে। ঢাকাও এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একদিনের ওই বৈঠক দুদিনে গড়ালেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়। কারণ কুয়ালালামপুরের পক্ষ থেকে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি ও বেস্টিনেট নামক একটি কোম্পানির মালিকানাধীন এফডব্লিউসিএমএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিক ও খাত সংশ্লিষ্টদের কথা তথা দেশের কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা এর বিরোধিতা করে সব বৈধ এজেন্সিকে সমান সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়। এ নিয়ে মতানৈক্যের কারণে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক। ঢাকার এ ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সিগুলোর মালিকরা।

বিজ্ঞাপন

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, সিন্ডিকেট হলে ফের অভিবাসন ব্যয় বাড়বে। পাশাপাশি নানা ধরনের অনিয়মও হবে। শুধু তাই নয়, এতে অর্থপাচারেরও আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এজেন্সিগুলোর দাবি, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিত নেপালকে অনুসরণ করা। নেপালে প্রায় ১৬শ রিক্রুটিং এজেন্সি সম্মিলিতভাবে মালয়েশিয়ায় দেশটির কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি মডেল হিসেব নজির স্থাপন করেছে স্বচ্ছতা ও স্বল্প-ব্যয়ের।

জানতে চাইলে জনশক্তি রফতানিকারক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো কম খরচে নিরাপদ অভিবাসন। সরকার যাদের লাইসেন্স দিয়েছে তাদের ব্যবসা করার অধিকার আছে। আগের বছরগুলোতে গুটিকয়েক এজেন্সি লোক পাঠিয়েছে বাড়তি খরচে। যা দুদেশেই সমালোচিত হয়েছে, বিতর্কিত হয়েছে। অন্য সব দেশ মালিয়েশিয়ায় যেভাবে শ্রমিক পাঠায় আমাদের দেশের সবগুলো রিক্রুটিং এজেন্সি অর্থাৎ আমরাও সেভাবে লোক পাঠাতে চাই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাই শ্রমিকরা অল্প ব্যয়ে বৈধ উপায়ে যাতে মালেয়েশিয়ায় যেতে পারে। আমরা চাই কেউ যাতে কারো হাতে জিম্মি না হয়।’

বেসরকারি সংস্থা রেফিউজি অ্যান্ড মিগ্রাটরি মোভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) পরিচালক মেরিনা সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, মালেশিয়ার শ্রমবাজার আবার সিন্ডেকেটের কবলে পড়ছে বলে আলোচনা হচ্ছে। আমরা অবশ্যই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। কারণ সিন্ডিকেট হলেই অভিবাসন ব্যায় বেড়ে যাবে। তাই রিক্রুটিং এজেন্সির ক্ষেত্রে এটি ওপেন থাকা দরকার। মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ হয় সরকার অবশ্যই তা দেখা উচিত। আর সব রিক্রুটিং এজেন্সি সুবিধা না দিয়ে ভালো ভালো রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালেয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে কোনোভাবেই যেন হাতেগোনা কয়েকজনের হাতে শ্রম বাজারটি সিন্ডিকেট না হয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএসএ

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি রিক্রুটিং এজেন্সি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর