‘টার্গেট’ পূরণের পর বেঁচে গেলে ভ্যাকসিন নেবেন প্রধানমন্ত্রী
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২৭ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৫
ঢাকা: দেশের জনগোষ্ঠীর একটি নির্দিষ্টসংখ্যক অংশকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন দেওয়ার পর বেঁচে থাকলে তারপরই কেবল এই ভ্যাকসিন নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন-
- আইন নিজ গতিতে চলছে, চলবে: প্রধানমন্ত্রী
- ‘আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’
- ‘কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করা কাম্য নয়’
- উন্নয়নশীল বাংলাদেশ, মুজিববর্ষে অনন্য মাইলফলকে দেশ
- নির্বাচন করবেন কি না— ২০২৪ সালে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী
- এলডিসি থেকে উত্তরণ আপামর জনসাধারণের কৃতিত্ব: প্রধানমন্ত্রী
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের অর্জনকে সুসংহত ও টেকসই করতে হবে’
- ‘স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণের মানদণ্ডগুলো ভালোভাবে পূরণ করেছে দেশ’
সংবাদ সম্মেলনে দেশে চলমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন একজন সাংবাদিক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তিনি কবে ভ্যাকসিন নেবেন।
এর জবাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ আগে ভ্যাকসিন নেবে। তারপর আমি নেব। আমি তো আছি। ৭৫ বছর হয়ে গেছে। হায়াত-মউতের কথা কে বলতে পারে। যেকোনো সময়ই তো মৃত্যু হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি টার্গেট আছে। আমরা আমাদের জনগণের একটি নির্দিষ্ট অংশকে ভ্যাকসিন দিতে চাই। সেই টার্গেট পূরণ হওয়ার পর যদি বেঁচে থাকি, যদি ভ্যাকসিন বেঁচে থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেব।
এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারির কারণে ২০২০ সাল কেবল আমাদের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য ছিল সংকটময়। এ মহামারিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এখন পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা মোট জিডিপি’র ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এরই মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জনকে এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সারাবাংলা/টিআর
টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্বল্পোন্নত দেশ