দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটি কমিশনের বক্তব্য শুনবে হাইকোর্ট
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:০৫
ঢাকা: দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনবে হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে আদালতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কমিটি (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং পিপলস লিজিং লিমিটেডের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থনৈতিক ক্ষতি (ধস) খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করেছে হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে তাও খতিয়ে দেখতে এই কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ সাংবাদিকদের জানান, এর আগে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্ত করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ নতুন করে কমিটি পুর্নগঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিতে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান অন্তর্ভুক্ত করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটির তালিকা জমা দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। উপ-মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয় এ জন্য পরামর্শ দেবে কমিটি। তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। এছাড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে কোনো বিভাগ, কর্মকর্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম