এবার বেনাপোল সীমান্তে হচ্ছে না মাতৃভাষা দিবসের মিলনমেলা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:১৩
বেনাপোল: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় এবার মৃাতৃভাষা দিবসের মিলনমেলা হচ্ছে না। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি নোম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সেটি হচ্ছে না।
জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে গেট খুলে দেওয়ার প্রথা চালু হয়। পরবর্তীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাংলাদেশের যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের উদ্যোগে গঙ্গা-পদ্মা মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হয়ে আসছে।
প্রতিবছর দুই দেশের নাগরিকরা ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে শুধুমাত্র ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দেন একুশের মিলন মেলায়। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের।
কিন্তু এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। এতোদিন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহীদবেদিতে পুস্পস্তবক দিতেন। এবার যৌথভাবে একুশের কোনো অনুষ্ঠান নোম্যান্সল্যান্ডে হবে না।
এ ব্যাপারে দুই বাংলার একুশ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বেনাপোলের উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘করোনার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে দুই দেশের আয়োজকরা আলোচনা করে এবার বেনাপোলের নোম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে বাংলাদেশের কয়েকজনকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে আবারও অনুষ্ঠান করা হবে।
সারাবাংলা/এসএসএ