স্ত্রীকে মারধরের মামলায় পুলিশ সদস্য জেল হাজতে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৫৬ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৪৪
বগুড়া: যৌতুকের দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারধর করে গর্ভপাতের মামলায় পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনাল।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতের নির্দেশে মো. গাউসুল আজম (৩৭) নামে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, মামলার বাদি বগুড়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তমানিয়া আফরিন তিমুকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন আসামি গাউসুল আজম। এসময় তিনি প্রথম বিয়ের কথা গোপন করেন। বিয়ের পরে গাউসুল বগুড়ার শেরপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সংসার করেন ৭ মাস। পরববর্তীতে গাউসুল ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে তার অস্বীকার করলে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা চালান বলে অভিযোগ করা হয়।
গত বছরের ১৭ আগস্ট মারধরের কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী তমানিয়া আফরিন তিমুর গর্ভপাত হয়। এ ঘটনার পর গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজমের বিরুদ্ধে তার মামলা দায়ের করেন তিমু। মামলা দায়েরের সময় অভিযুক্ত গাউসুল নওগাঁয় কর্মরত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে বগুড়ার শেরপুর-ধুনট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
বাদি পক্ষের আইনজী আবুল কালাম আজাদ জানানা, আদালত অভিযুক্ত গাউসুল আজমের বিরুদ্ধে এই মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। পরে গাউসুল আজম বুধবার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনে আবেদন করেন। আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল(২) এর স্পেশাল পিপি আশিকুর রহমান সুজন জানান, গাউসুল আজম সময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসএ