নিয়ম নেই, তবু স্পট রেজিস্ট্রেশনে ভ্যাকসিন নিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:৪৬
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশন চললেও ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন শেষে এসএমএস পাওয়ার পরই ভ্যাকসিন প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় অনেকের অভিযোগ, নিবন্ধন করেও তারা ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ জানানো এসএমএস পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, স্পট রেজিস্ট্রেশনের কারণে শুরুর দিকে এসএমএস পাঠানো নিয়ে জটিলতা থাকলে বর্তমানে সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে স্থাপিত কেন্দ্রে দেখা যায়, এসএমএস না থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। শুধু তাই না, একইসঙ্গে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে অনেককেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সাধারণভাবে এসএমএস না থাকলে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুরোধে ‘পরিচিত’ রেফারেন্সের কারণে তাদের ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে। এভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি আছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এভাবে যদি কেবল উৎসাহের কারণে ৪০ বছরের বেশি নাগরিক ও ফ্রন্টলাইনাররা বাদে অন্যান্যরা ভ্যাকসিন নেন, সেক্ষেত্রে নিবন্ধন ও এসএমএস পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দেবে। এতে সাধারণ মানুষ যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তাদের এসএমএস পেতে দেরি হতে পারে।
দেশে স্পট রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকলেও ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মিডিয়া প্রফেশনালস কমিউনিটি নামে একটি ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মিডিয়া প্রফেশনালস কমিউনিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ধাপে ৩৫ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগ্রহী গণমাধ্যমকর্মীদের এনআইডি সঙ্গে থাকলেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- এসএমএস ছাড়াও ভ্যাকসিন দিচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল!
বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) এই ফোরামের আয়োজনে ভ্যাকসিন নেন ৫৬ জন গণমাধ্যমকর্মী। এসএমএস না থাকলেও সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
এই ফোরামের সমন্বয়ক কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের গণমাধ্যমের যারা সম্মুখসারির যোদ্ধা, তাদের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। কারণ গণমাধ্যমকর্মীদের সবাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) বা অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য নন। তারা যেন ভ্যাকসিন নিতে পারেন, সে কারণেই আমরা উদ্যোগটি নিয়েছি।
রশীদ অলক জানান, ভ্যাকসিন নেওয়া সবাই যেমন নিবন্ধন করেছেন, তেমনি এসএমএসও পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আগেই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করিয়ে নিয়েছিলাম। হাসপাতালে যারা আছেন, তারাই এটি দিয়ে রাখতে বলেছিলেন। আমরা আগেই তালিকা দিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে আমার মোবাইলেও এসএমএস এসেছে। তাই এসএমএস ছাড়া ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
অলক এসএমএস পেয়েছেন বলে দাবি করলেও একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা প্রকৃতপক্ষে এসএমএস পাননি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এসএমএস সবার কাছেই গিয়েছে। কারও কারও কাছে হয়তো সার্ভারে সমস্যার কারণে যায়নি। কিন্তু তারিখ আজই ছিল। এক্ষেত্রে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
তবে এদিন এই উদ্যোগের আওতাতেই ভ্যাকসিন নেওয়া একজন সারাবাংলাকে বলেন, স্পট রেজিস্ট্রেশন করেই তিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি কোনো এসএমএস পাননি।
পঙ্গু হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, আজ এখানে যারা এসেছিলেন, তাদের অনুরোধ করে বলা হয়েছিল—আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে দুইটি দিন অপেক্ষা করুন। এর মধ্যেই এসএমএস পেয়ে যাবেন। কারণ এখানে তেমন ভিড় নেই। কিন্তু তারা স্পট রেজিস্ট্রেশন করেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের এভাবে ভ্যাকসিন না নিতে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া খাতুনের অনুরোধে তাদের এই সুবিধা দিতে হয়েছে।
ওই চিকিৎসক আরও বলেন, বলা যেতে পেরে কিছুটা জোর করেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ানো হয়েছে। রোকেয়া আপা (রোকেয়া খাতুন) তাদের নিয়ে আসার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু বলার সাহস পায়নি। উনি বলেই দিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশন করে তাদের ভ্যাকসিন দিতে হবে।
দেশে স্পট রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকলেও পঙ্গু হাসপাতালে কিভাবে এই প্রক্রিয়া চলছে— জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক আবদুল গণি মোল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের নিয়ম না মেনে যারা আসলে এসএমএস ছাড়া এভাবে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বা স্পট রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, এখনো তারা বুঝতে পারছেন না এতে কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে। তারা যদি শেষ পর্যন্ত কোনো এসএমএস না পান, তাহলে কী হবে? স্পট রেজিস্ট্রেশনের ডাটা এন্ট্রির জন্য এমআইএস ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যখন তাদের তালিকা যাবে, কোনো কারণে কারও নাম বাদ পড়লে তখন কিন্তু তিনি সনদ পাবেন না। তখন কিন্তু আবার আমাদেরই দোষারোপ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা আছে, কোনো বয়স্ক মানুষ নিবন্ধন করার পর এসএমএস না পেলেও যদি ভ্যাকসিন নিতে যান, তাকে যেন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেটি মানবিক বিবেচনায় করা হচ্ছে হাতেগোনা দুয়েকজনের জন্য। কিন্তু হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা মেনে। তবু আজ (বুধবার) এটি বন্ধ করা যায়নি। সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হয়েছে, কাল থেকে যেন কোনো স্পট রেজিস্ট্রেশন না করা হয়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা সারাবাংলার কাছে দাবি করেন, বুধবার যে ৫৬ জনকে মিডিয়া প্রফেশনালস কমিউনিটির পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তারা সবাই নিবন্ধন করেছেন এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ সম্বলিত এসএমএসও পেয়েছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার তার কাছে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার নিবন্ধন করে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এই ৫৬ জন এসএমএস না পেয়েও তার সুপারিশের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন— এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আমি এখন একটি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলছি।’ তবে এরপর একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতি এড়িয়ে মিডিয়া প্রফেশনালস কমিউনিটির এই উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সারাবাংলাকে বলেন, পঙ্গু হাসপাতালের এ ঘটনাটি আমি সম্পূর্ণ অবগত নই। তাই আরেকটু জেনে মন্তব্য করা শ্রেয়। তবে যদি এভাবে কেউ দেশের প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশন করে থাকে, সেটি অবশ্যই নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কোনো ধরনের অন্যায় সুযোগ-সুবিধা শুধু সাংবাদিকরা কেন, কেউই পেতে পারেন না। এক্ষেত্রে আসলে সবার একটু অপেক্ষা করা দরকার। কারণ ভ্যাকসিন তো সবাই পাবেনই। যেহেতু সরকার একটি পরিকল্পনা করে ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন দিচ্ছে, সবার উচিত সেই পরিকল্পনাটিই অনুসরণ করা।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সবার উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে। শুরুর দিকে বলা হচ্ছিল, ফ্রন্টলাইনার হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীরাও ভ্যাকসিন পাবেন। এসব ভ্যাকসিন প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিএফইউজে বা অন্যান্য সাংবাদিকদের সংগঠনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট হয়নি। সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করেই পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এটা আমার মনে হয় এই বার্তাটি দ্রুত সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন যে পর্যায়ক্রমে সবাই-ই ভ্যাকসিন পাবেন।
জানতে চাইলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সারাবাংলাকে বলেন, এভাবে যদি নিয়ম ভাঙা হয়, সেটি অবশ্যই অনৈতিক। কারণ এতে সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিনপ্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সরকার তো বলেছেই, বয়স্কদের প্রাধান্য দিয়ে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আর বাকিরাও পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন পাবেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারির পরে যদি কাউকে স্পট রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে, সেটি ঠিক হয়নি। যারা দিয়েছে, তাদেরও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। আমি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) অফিসে গিয়েই এ বিষয়ে খবর নেব। কারণ প্রতিটি কেন্দ্রের আলাদা আলাদা সক্ষমতা আছে। সেটি হিসাব করেই কাজ করতে হবে।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন। অবশ্যই পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু যদি কেউ এ জন্য নিয়ম ভেঙে ভ্যাকসিন নেন, সেটি গোটা প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি করবে। তাই আমরা সবাই শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবেই ভ্যাকসিন নেব— এমনটিই আশা করি।
নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন পাওয়ার তারিখ জানিয়ে এসএমএস না পাওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না— এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের কাছে। তিনি বলেন, কিছু শিথিলতা আছে। তবে সেটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। দেখা গেল, কোনো কেন্দ্রে একজন প্রবীণ ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন যার ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ আগের দিন ছিল। তাকে কেন্দ্র থেকে না ফিরিয়ে দিয়ে আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে দেবো। তবে এসএমএস না থাকলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা নয়। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি।
নিবন্ধন করেও দীর্ঘ সময় এসএমএস না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে অনেকের। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডা. নাজমুল বলেন, যারাই নিবন্ধন করছেন, তারা সবাই এসএমএস পাবেন। সেটি নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা এরই মধ্যে এক দিনে দুই লাখের বেশি ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার নজির গড়েছি। ২০ লাখেরও বেশি নিবন্ধন হয়ে গেছে। যারা এসএমএস পাননি, তারাও খুব দ্রুতই এসএমএস পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার বিবেচনাগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন।
এদিকে, এই প্রতিবেদন লেখার সময় জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ মিডিয়া প্রফেশনালস কমিউনিটি। তারা আগ্রহীদের স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিবর্তে ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিবন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে। নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ জানানো এসএমএস পাওয়ার পর তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
গণমাধ্যমকর্মী টপ নিউজ পঙ্গু হাসপাতাল ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্পট রেজিস্ট্রেশন