পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএম কর্মীর মৃত্যু: মমতার পদত্যাগ দাবি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৪৪ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৪৫
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থিদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলায় ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআইএম) কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে, বামপন্থিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ দাবি করেছেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আহতদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়। ওই মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ দাবি করছে বামপন্থিরা। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানাচ্ছে ডয়চে ভেলে।
Thousand mourned and paid their last respect to Comrade Maidul Islam Middya (Farid) who has succumbed to his injuries received due to barbaric lathi charge of puppet Police of TMC during #NabannaAvijan.
Pictures taken in front of Dinesh Majumdar Bhavan, State Office of SFI-DYFI. pic.twitter.com/YcSFW4Xa33— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) February 15, 2021
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নবান্নে একটি প্রকল্প উদ্বোধনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই ব্যক্তিকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিবার বা পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, মিছিলে কেউ আহত হলে পুলিশেরই দায়িত্ব তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা। কিন্তু ওই দিন পুলিশ তা করেনি। এখানেই পুলিশের গাফিলতি স্পষ্ট। পুলিশের ব্যর্থতার দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগের সপ্তাহে, বামপন্থি ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা তৈরি হয়। সে সময় ছাত্রদের ওপর নজিরবিহীন লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। এমনকি নারী কর্মীদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বহু বামকর্মী।
নবান্ন অভিযানের দিন মিছিলে ছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই’র সদস্য মইদুল ইসলাম মিদ্যা। রাজপথে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন তিনি। মইদুলের ওপর পুলিশি হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর সোমবার তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক আগে পশ্চিমবঙ্গে বাম শাসনামলে ২১ জুলাই পুলিশি হামলায় একাধিক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই দিনটিকে মনে রেখে এখনো কলকাতায় ধর্মতলার মোড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শহিদ দিবস পালন করেন। ওই সভাই তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সভা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও, নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মমতা তার বিরুদ্ধেও নিরন্তর আন্দোলন করেছেন। এবার সেই মমতার সরকারের পুলিশ বাহিনীর হাতে বাম কর্মীর প্রাণহানির অভিযোগ উঠল। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাখাও হাজির করতে হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম
টপ নিউজ তৃণমূল কংগ্রেস পদত্যাগ দাবি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) মমতা ব্যানার্জি সিপিআইএম