জয় গোপালের চার মামলার জামিন শুনানি ২ মাস মুলতবি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৪
ঢাকা: ক্যাসিনো কাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে করা চার মামলার জামিন শুনানি দুই মাস মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুনমুন নাহার। দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, জয় গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে করা ছয়টি মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ পৃথক দুটি জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছিলেন। আজ বাকি চারটি জামিন আবেদন শুনানির জন্য ছিল। সেটি আরও দুই মাস মুলতবি করেছেন আদালত। দুই মাস পরে আবারও তালিকায় আসলে সেটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চে জামিনের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। এরপর ৮, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি আবারও এ বিষয়ে শুনানি হয়। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি দুটি মামলায় জামিন আবেদন খারিজ হয়।
এর আগে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের জামিন আবেদনের শুনানিতে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় এসব নথিপত্র জমা দেন তার আইনজীবীরা।
জানা গেছে, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতারা ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত হয় বলে জানায় সিআইডি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে গত বছরের ১৩ জুলাই সোমবার লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ