ইরফান সেলিমসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ডিবির চার্জশিট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৪২
ঢাকা: নৌ-বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অভিযুক্তরা হলেন- হাজি সেলিমের বড় ছেলে ইরফান সেলিম, হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ পাঁচজন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার আজিমুল হক আদালতে চার্জশিট পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ধানমন্ডির কলাবাগান এলাকায় নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই তার সুরাহা হবে।
ওই সময় ডিবি সূত্র জানিয়েছিল, তদন্তে যে পরিমাণ তথ্য উপাত্ত মিলেছে তাতে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যাবে। একইসঙ্গে তার গাড়িচালক, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীসহ বন্ধুদের যোগসাজশ ডিবির তদন্তে উঠে এসেছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে ধানমন্ডি এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদকে মারধর করে। ওই সময় তার স্ত্রীর গায়েও হাত তোলার অভিযোগ করেন ওয়াসিফ।
পরদিন সকালে ওয়াসিফ আহমেদ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওইদিন দুপুরের দিকে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত হাজী সেলিমের পুরান ঢাকার দেবী দাস ঘাট লেনের বাসায় অভিযান শুরু করে। বিদেশি মদ ও বন্যপ্রাণীর চামড়া পাওয়ায় ইরফান সেলিম ও দীপুকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। এছাড়াও চকবাজার থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা করে র্যাব।
সেই মামলায় ইরফান সেলিম কারাগারে গেলেও গত ডিসেম্বর মাসে আদালত তাদের জামিন দেয়। এরইমধ্যে চকবাজার থানার দুটি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
সারাবাংলা/ইউজে/এএম