করোনার ভ্যাকসিন নিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৫৩ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৩৮
ঢাকা: সারাদেশে একযোগে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগের শুরুর দিনই ভ্যাকসিন নিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। এসময় মন্ত্রীর স্ত্রী নারায়ণগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীও ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এদিন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ রাজধানীর ৫০টি ও সারাদেশের আরও ৯৫৫টি হাসপাতালে একযোগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, এই ভ্যাকসিন আমাদের আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করা উচিত। আমি ও আমার স্ত্রী আজ এসেছি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে। আমরা শুরুতেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে চাই। সবাইকে দেখাতে চাই এ ভ্যাকসিন নিরাপদ, কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, আপনারা নিশ্চিন্তে ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে আমি ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে এই ভ্যাকসিন আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাদের ভালোবাসেন বলেই, অনেক দেশের আগেই আমাদের এখানে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এর আগে, স্ত্রী হাছিনা গাজীকে নিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এসময় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে লড়াই করার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে ওই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর পাঁচ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। পরে কুর্মিটোলাতেই আরও ২১ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
পরদিন ২৮ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ রাজধানী ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এদিন মোট ৫৪১ জন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পান। সেদিন মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ভ্যাকসিন নেন।
ভারত থেকে উপহারের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসে। এর চারদিন পর ২৫ জানুয়ারি ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজের একটি চালান দেশে আসে, যা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ কিনে নিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্যাটেন্টে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ব্র্যান্ডের এই ভ্যাকসিনই দেশব্যাপী জনসাধারণ পর্যায়ে প্রয়োগ শুরু হলো আজ রোববার।
আরও পড়ুন-
- ভ্যাকসিন নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভ্যাকসিন নিলেন ঢাবি উপাচার্য
- যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না
- ভ্যাকসিন নিলেন রংপুরের মেয়র
- খুলনায় প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন মেয়র
- করোনার ভ্যাকসিন নিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
- কেন্দ্রে গেলেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
- নওফেলকে দিয়ে চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ শুরু
- সিলেটে প্রথম দিনে ৭০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে
- ঢামেকে প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন চিকিৎসক দীপংকর ঘোষ
- বার্ন ইউনিটে ভ্যাকসিন নিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম
- ভয় নেই, যখনই আপনার তারিখ আসবে ভ্যাকসিন নেবেন: ডা. জাফরুল্লাহ
সারাবাংলা/এসবি/এসজে/এসএসএ