প্রথম মাসে ৬০ লাখ নয়, ৩৫ লাখ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৪ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৭
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগে প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি এখন ৩৫ লাখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
খুরশীদ আলম বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ভ্যাকসিন বিতরণ সম্পর্কিত একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেওয়ার চার থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩৫ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রত্যেককেই দুই ডোজ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্তমান সময়ে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আছে। এর মধ্যে আমরা অর্ধেক দিয়ে বাকি অর্ধেক রেখে দেব। সেটি এক মাস পর দেব আমরা। এতে করে অন্তত ৩৫ লাখ লোককে আমরা কমপ্লিট ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারব।
তিনি আরও বলেন, একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত করে দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে এমনটা করা। কারণ প্রথম ডোজ দিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ যদি পেতে দেরি হয়, তাহলে পুরো বিষয়টি নষ্ট হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি আমাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় লট চলে আসে, তাহলে আগের পরিকল্পনায় চলে যাব।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এই দুই দিনে দেশে সর্বমোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
সারাবাংলা/এসবি/এএম