আসামির জামিনে অনাপত্তি, বাদী শিশুটির বাবাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:২১
ঢাকা: সিলেটের বিয়ানীবাজারের চাচির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় চার বছরের শিশু সোহেল খুনের শিকার হয়। এ ঘটনায় চাচির পরকীয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ওরফে ইব্রাহিমের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামির জামিন আবেদনে অনাপত্তির অভিযোগে মামলার বাদী শিশুটির বাবাকে গ্রেফতারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আল আমিন। আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
জানা যায়, গত বছরের ৭ জুন রোববার ভোরে শিশুটি চাচির বসতঘরের ভেতরে গিয়ে নাহিদুল ও সুরমা বেগমের অনৈতিক মেলামেশা দেখে ফেলে। পরে ওই দুইজন শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গোসল খানায় প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখে। সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় নাহিদুল ও সুরমা বেগমকে আটক করা হয়। পরদিন শিশুর বাবা খসরু মিয়া মামলা করেন। সুরমা বেগম রুনু মিয়ার স্ত্রী এবং নাহিদুল চারখাই ইউনিয়নের মধুরচক এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে। পরে গত নভেম্বর মাসে নাহিদুল নিম্ন আদালতে আবেদন করেন। সেটি খারিজ হওয়ার পর তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন করেন।
বশির উল্লাহ জানান, উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষে মামলার বাদী শিশুটির বাবা একটি আবেদন দেন। আবেদনে বলা হয়- আসামির জামিনে তার (বাদী) কোনো আপত্তি নেই। আদালত এতে ক্ষুব্ধ হন। কারণ এটি একটি হত্যা মামলা। এত কিছুর পরও আসামিকে বাঁচানোর জন্য শিশুর বাবা মামলার বাদী অগ্রগামী হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আদালত তার জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে মামলার বাদী খসরু মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ধারায় অভিযোগ দায়ের করতে বিয়ানীবাজার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম