মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:১২ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:১৮
আবারও মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় নিন্দা ও কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, দেশটির সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের চেষ্টা বা গণতান্ত্রিক উত্তরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরির যে কোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র। এসব পদক্ষেপ বাতিল করা না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তনি ব্লিংকেন বলেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি এবং উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় রয়েছে বার্মার জনগণ। সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই এই পদক্ষেপ বাতিল করতে হবে।
এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানামারের ঘটনায় তার দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি সহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনে জালিয়াতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে হস্তান্তর এবং এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।’ এ খবর নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির একজন সামরিক মুখপাত্রের কাছে ফোনে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এনএলডি বড় জয় পায়। এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিলো ৩২২ আসন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজধানী নাইপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের সড়কে সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। টেলিভিশন ও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছিলো। আজ সোমবার দেশটিতে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন বসার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এই অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছিল।
এর আগে ২০১১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটার আগ পর্যন্ত দেশটিতে ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর আগ পর্যন্ত অর্ধশতক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শাসনেই ছিল। সেসময় দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয় সু চিকে।
সারাবাংলা/এএম