ভ্যাকসিনে মানুষ বাঁচবে কী বাঁচবে না, তা নিশ্চিত নয়: রিজভী
৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৭ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৫৪
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া না গেলেও এ নিয়ে ‘নেতিবাচক বক্তব্য’ অব্যাহত রেখেছেন বিএনপি নেতারা।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনে মানুষ বাঁচবে কী বাঁচবে না, তা নিশ্চিত নয়।’
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসারের উদ্যোগে রাজধানীর রায়সাবাজার মোড়ে শীত বস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সরকার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলছে। এই ভ্যাকসিনে মানুষ বাঁচবে কী বাঁচবে না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা আগেই বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগে ভ্যাকসিন নিন। কিন্তু তারা কেউ নেননি।’
‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বলা হয়েছে ভারতের এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ টেস্ট করার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর মানুষ বাঁচে না মারা যায় তা দেখার জন্য। এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে একজন নার্সকে দিয়ে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই কাজটি করা হয়নি। আমেরিকায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রথম ভ্যাকসি নিয়েছেন’— বলেন রিজভী।
সরকারকে কারসাজি ও জালিয়াতি ও ধোঁকাবাজির সরকার আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার শীতার্ত মানুষের জন্য কিছুই করেনি। তারা ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ঘর থেকে বের হন না। মানুষের প্রতি দরদ থাকলে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে দেখতেন মানুষ কত কষ্টে আছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। এই সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। হাজার হাজার মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনি ভোট দিতে যাবেন, আপনার ভোটার আইডি কার্ড আছে কিন্তু গিয়ে দেখবেন আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। একটি ইভিএম মেশিন তৈরি করেছে ভোট চুরির জন্য। আপনি ধানের শীষে চাপ দেবেন নৌকায় চলে যাবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সারাবাংলা/এজেড/একে