আমিরাত- সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি করবে না যুক্তরাষ্ট্র
২৮ জানুয়ারি ২০২১ ২১:০৮ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:১৭
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। খবর সিএনএন।
এর আগে, এই দুই আরব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছিলর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
অস্ত্র বিক্রির ওই চুক্তি এখন বিশদভাবে পর্যালোচনা করে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র – সিএনএনকে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিংকেন বলেছেন, এটি প্রশাসনের রুটিন সিদ্ধান্ত। নতুন প্রশাসন আগের প্রশাসনের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখবে – তাই স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্রনীতির অগ্রগতিতে অস্ত্র বিক্রি কতটা সহায়ক তা নিশ্চিত করতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সর্বপ্রথম জানিয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরব এবং আমিরাতের কাছে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান এবং সৌদি আরবের কাছে প্রিসিশন-গাইডেড মিসাইল বিক্রি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনরায় মূল্যায়ন করে দেখার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই সে অনুসারে পদক্ষেপ নিলেন তিনি। ২০ জানুয়ারিতে বাইডেন কাজ শুরু করার প্রথম ধাপেই ট্রাম্পের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি পর্যালোচনা এবং বাতিল করতে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালীন, ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া এবং ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতির পাশাপাশি সৌদি আরব ও আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ট্রাম্প।
২০১৯ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। ওই সময় সৌদি আরব, আমিরাত এবং জর্ডানের কাছে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসের বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
তারপরও ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষে সৌদি আরবের কাছে ২৯ কোটি ডলারের হালকা অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেন ট্রাম্প। নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন আমিরাতের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কংগ্রেসকে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০টি লকহিড-মার্টিন এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান কিনেছিল আমিরাত। সৌদি আরব কিনেছিল প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল। বাইডেন তখনই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এই অস্ত্র ইয়েমেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে বলে তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। এবার বাইডেনের অস্ত্র বিক্রি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে তাৎক্ষণিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেসের ডেমোক্রেটরা।
সারাবাংলা/একেএম