ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা, মাদরাসার শিক্ষক গ্রেফতার
২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:৩৩ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:০০
সুনামগঞ্জ: জেলার ছাতকে বোন জামাইয়ের বড় ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৩ বছর বয়সী এতিম কিশোরী দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। প্রায় তিন মাস আগে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করলে অভিযুক্ত হাফিজ সোলেমান আলীকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সিলেট নগরীর হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ছাতক থানা পুলিশ। পিতা-মাতাহীন কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযুক্ত হাফিজ উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামের ক্বারি আফতাব আলীর ছেলে। তিনি হবিগঞ্জের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী তার একমাত্র বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাবার বাড়িতেই থাকেন। গত বছরের ৫ নভেম্বর তার বড় ভাই রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিতে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলায় যাওয়ার সময় ওই কিশোরীকে জাতুয়া গ্রামের বোনের বাড়িতে রেখে যান। ওই দিন রাতেই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বোন জামাইয়ের বড় ভাই হাফিজ সোলেমান আলী। এরপর নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজনের চাপে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেয় হাফিজ। কিন্তু নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে এক পর্যায়ে বিয়েতে অসম্মতি জানায় হাফিজের পরিবার।
এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত হাফিজের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বড় বোন। এরপর কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভুগী কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সারাবাংলা/এনএস
কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা টপ নিউজ ধর্ষণ মাদরাসার শিক্ষক গ্রেফতার