Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভালো না লাগা’ রোগের ভ্যাকসিন আছে কি না জানি না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৮

ঢাকা: সরকারের ভালো কাজে অহেতুক সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য হলো যে কিছু কিছু লোক থাকে, সবকিছুতেই একটা নেতিবাচক মনোভাব তারা পোষণ করে। যতই ভালো কাজ করেন, সবসময় তাদের কিছু ভালো লাগে না। এরকম ‘ভালো না লাগা’ রোগে ভোগে তারা। এ রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না। এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি না তাও জানি না।’

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সসহ ২৫ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্যদিয়ে সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রথম পাঁচজনের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। আর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রান্তে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে দেওয়া হবে। সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, তার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এরইমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর প্রথম চালানের টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতিও দিয়েছে। এ ছাড়া সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে যেহেতু এ ভ্যাকসিনের কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি। তাই ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা হবে। সব ঠিক থাকলে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন আনার জন্য যে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি করেছি এবং আমরা যে ভ্যাকসিনটা পাচ্ছি আমরা এটির আজকে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আপনারা জানেন যে ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু এগুলো টেস্ট করা হয়। তারপরও কিন্তু প্রয়োগ করা হয়। আমাদের দুভার্গ্য হলো যে, কিছু কিছু লোক থাকে, সবকিছুতেই একটা নেতিবাচক মনোভাব তারা পোষণ করে। হয়ত তাদের কাছে মানুষ কোনো সাহায্য পায় না। কিন্তু কোনো কাজ করতে গেলে সেটি নিয়ে বিরূপ সমালোচনা, মানুষের ভেতরে সন্দেহ ঢোকানো, মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো; এ ধরনের কিছু কাজ কারও অ্যভাস আছে।’

‘সবসময় কিছু তাদের ভালো লাগে না। যত ভালো কাজেই করেন। সবকিছুতেই তাদের ভালো লাগে না, এ রকম একটি রোগ ভোগে, এ রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না। এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি না তাও আমি জানি না। কিছু ভালো লাগে না; এ ধরনের একটা রোগ আপনার পত্রিকা দেখলেই পাবেন। সেখানে সবকিছুর একটি দোষ ঢোকানোর অপচেষ্টা আছে। এই ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না? আসলে পরে এত দাম হলো কেন? এটা চলবে কি চলবে না? ভ্যাকসিন শরীরে দিলে কী হবে? যাই হোক তবু আমি চাই তারাও সাহস করে আসবেন? আমরা তাদেরকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেব যেন তারা সুরক্ষিত থাকে।’

‘কারণ তাদের যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সমালোচনা করবে কে? সমালোচনার লোক থাকা দরকার। তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, আমাদের কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলো কি না? সে জন্য তাদের আমি সাধুবাদ দিচ্ছি। তাদের সমালোচনা যত হয়েছে। আমরা কিন্তু ততবেশি দ্রুত কাজ করার প্রণোদনা পেয়েছি বলেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

করোনা টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর