‘বেসরকারিভাবে ১০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে ওষুধ কোম্পানির কর্মীদের জন্য’
২৪ জানুয়ারি ২০২১ ২০:১২ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৪৮
ঢাকা: বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সরকারের করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার অগ্রাধিকারের তালিকায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নাম নেই। কিন্তু করোনাকালে আমরা একদিনও কারখানা বন্ধ রাখতে পারিনি। যারা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে তারা সবচেয়ে বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এজন্য আমরা বেসরকারিভাবে ১০ লাখ ভ্যাকসিন আনতে যাচ্ছি ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভ্যাকসিনের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে রাজধানীর গুলশানের বাসায় এ কথা বলেন বেক্সিমকো পরিচালক।
আরও পড়ুন: বেসরকারিভাবে ১২০০ টাকায় পাওয়া যেতে পারে করোনার টিকা
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ওষুধ কোম্পানির কর্মচারীরা। কারণ, একদিনও কাজ বন্ধ থাকেনি। দেশের প্রতিটা দোকানে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধিদেরকে হাসপাতাল ও চেম্বারে যেতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সরকারের যে তালিকা আছে, তাতে প্রাইভেট ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর কেউই আমরা সেখানে নেই। সেজন্য দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির জন্য আমরা কিছু ভ্যাকসিন এনেছি। ওষুধ শিল্প সমিতির মাধ্যমে সেটা আমরা চেয়েছি। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির জন্য আমরা ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনছি।’
তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকোর আনা করোনার ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক নয়। এই ভ্যাকসিন বাইরে কিনতে পাওয়া যাবে না। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আগেই চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। চুক্তির আওতায় সরকারের জন্য তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনবে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বেক্সিমকো আলাদাভাবে আনবে ১০ লাখ ডোজ। যা ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া হবে। এছাড়াও কিছু ভ্যাকসিন অর্ডার দেওয়া হয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতির সদস্যদের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন বাইরে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এখন যদি সরকার বলে যে, আমরা প্রাইভেট মার্কেটে দেই। প্রাইভেট বলতে হাসপাতাল-ক্লিনিক। আমরা তখন চেষ্টা করে দেখবো যে, তাদের জন্য আনতে পারি কিনা। এখন যেটা আসছে সেটা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিকে দেওয়ার পর যদি কিছু থাকে, তাহলে আমরা দুই-একটা কোম্পানিকে দিতে পারি। ওষুধ কোম্পানিগুলোর সব কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পাবে। সুতরাং, এক্ষেত্রে ১০ লাখ ডোজও অনেক কম।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা তিন কোটি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে পৌঁছবে সোমবার। এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দুপুরের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। সরকার আমাদের ৬৪ জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছে। আমরা প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করব। সরকার যেখানেই বলবে আমরা সেখানেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেব।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম
ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারী টপ নিউজ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যাকসিন