ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা
২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৪৫ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১১:০৭
বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ম্যানেজ করে আড়িয়ালখাঁ, জয়ন্তী ও নয়াভাঙ্গনী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। মুলাদী উপজেলায় কোনো বালু মহাল না থাকলেও ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে নদীভাঙন আরও তীব্র হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে নদী তীরের বাসিন্দাদের বাড়িঘর, বিদ্যালয়, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
একইভাবে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ নদীতে ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়িত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীর দুই পাড় ক্রমাগত ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার আড়িয়ালখাঁ, জয়ন্তী ও নয়াভাঙ্গনী তিনটি বড় নদী। প্রতিবছরই বর্ষায় তিন নদীর ভাঙনে অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন রোধে এ সব নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হলেও জয়ন্তী ও আড়িয়ালখাঁ নদীর ১৫টিরও বেশি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র। বালু উত্তোলন করায় শীতের মৌসুমেও উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের গলইভাঙ্গা নতুন হাট, নমরহাট, পশ্চিম তেরচর, পশ্চিম চরকালেখান, নন্দীরবাজার, নবাবের হাট লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরের মাটি নদীতে ধসে যাচ্ছে।
ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চরলক্ষ্মীপুর ফাজিল মাদরাসা, চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, তেরচর ভাঙ্গারমোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোহসীন উদ্দীন খান জানান, বালু উত্তোলনের ফলে কিছু বালু ব্যবসায়ী লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গত ১৯ জানুয়ারি দেড় শতাধিক মানুষ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভ্রা দাস জানান, অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/একে