Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মঞ্জুর হত্যা মামলা থেকে এরশাদকে অব্যাহতির আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২৫ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৭

ঢাকা: মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ। মামলাতে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালতে সম্প্রতি এ সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান। এইচ এম এরশাদ ও আবদুল লতিফ মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুর মোহাম্মদ খান শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি চার্জশিটটি গ্রহণ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান তিনি।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তারা হলেন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।

গত ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এইচএম এরশাদ মারা যান।

২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেলেন আদালতের বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ।

এ ঘটনার আসামিরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (মৃত), মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।

গত ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

সারাবাংলা/এআই/একে

এইচএম এরশাদ টপ নিউজ মঞ্জুর হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর