৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ
১৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৪১ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৫৯
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় কওমি মাদরাসা ছাড়া দেশের স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ছে। প্রায় একই সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতেও জানানো হয়েছে, ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে ছুটি থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময় করোনাভাইরাস বিষয়ক যেসব সতর্কবার্তা, নির্দেশনা ও অনুশাসন জারি করা হয়েছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিজ বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, স্থানীয় প্রশাসন বা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে। আর শিক্ষার্থীরা বাসায় থেকেই যেন পড়ালেখা চালিয়ে যায, সেটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল ও তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ না থামলে শেষ পর্যন্ত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার সেই ছুটি বাড়লো ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে গত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এইচএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে কোনো বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে অটো পাস দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদেরও দেওয়া হয়েছে অটো পাস। তবে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের ফল প্রকাশ করা হবে।
এরই মধ্যে এ বিষয়ক আইনের সংশোধনীতে মন্ত্রিসভার কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে এই সংশোধনী পাস হলে এইচএসসি ও সমমানের ফলপ্রকাশ করা হবে।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/টিএস/টিআর