Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পি কে হালদারের ভুয়া ৪ প্রতিষ্ঠানের ৯৬০ কোটি টাকা জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৩ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ২০:২৪

ঢাকা: প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ভুয়া চার প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় বলে তথ্য মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর নামে থাকা ৯৬০ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক।

অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনেও অভিযুক্তরা দুদকে হাজির হননি। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক নওশের উল ইসলাম ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম এবং এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক সনজিব কুমার হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও কোনো অভিযুক্ত নিজের বক্তব্য রাখতে দুদকে আসেননি। দুদক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, পিপল লিজিংয়ের লোপাট হওয়া ৩ হাজার ৬ শ কোটি টাকা পি কে হালদার তার আত্মীয়-স্বজনের নামেই ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ দেয়। সে অর্থের খোঁজে নতুন সব তথ্য মিলছে দুদকের অনুসন্ধানে। জানা গেছে, পিপলস লিজিংয়ের নওশেরুল ইসলাম, মমতাজ বেগম, বাসুদেব ব্যানার্জী ও পাপিয়া ব্যানার্জীর নামে খোলা ভুয়া কোম্পানির নামে এই অর্থ ঋণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৯৬০ কোটি টাকা ছাড়া বাকি অর্থ এরই মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে।

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এরই মধ্যে নওশেরুল ইসলামের কোম্পানির ৯৫২ কোটি টাকা, মমতাজ বেগমের কোম্পানির ২.৬৯ কোটি টাকা, বাসুদেব ব্যানার্জীর কোম্পানির ৪.৬৪ কোটি টাকা ও পাপিয়া ব্যানার্জীর নামে থাকা কোম্পানির ৬১ লাখ টাকা জব্দ করেছে দুদক। বাকি অর্থ এসব ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে পাচার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

দুদক সূত্র জানায়, আগামী দুই কার্যদিবসে পিপল লিজিং ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইওসহ এসব প্রতিষ্ঠানের আরও ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্তরা তাদের বক্তব্য দিতে দুদকে উপস্থিত না হলে অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে। এর আগে পি কে হালদারের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়।

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

টপ নিউজ দুদক পি কে হালদার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর