Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পানি নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনার পাশাপাশি বিকল্পও ভাবতে হবে’


১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:১৯ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৩

ঢাকা: সারাবিশ্বেই পানির চাহিদা বাড়ছে। তবে দিন দিন পানির যে সংকট তৈরি হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতেও পড়ছে তার প্রভাব। বাংলাদেশের মতো নিচু অঞ্চলের দেশের জন্য এখনই প্রয়োজন নিজেদের পানির সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা। সেজন্য আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার পাশাপাশি দেশের ভেতরেও নানা প্রকল্প গ্রহণের প্রতি জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সারাবাংলা.নেটের বিশেষ আয়োজন ‘সারাবাংলা ফোকাসে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন অতিথিরা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ছিল ‘দক্ষিণ এশিয়ার পানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ’। সারাবাংলা.নেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-এর পরিচালক মো. সোহেল মাসুদ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস, সিইজিআইএস-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।

শুরুতেই মো. সোহেল মাসুদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মাথাপিছু পানির পরিমাণ দিন দিন কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির অভাব আরও প্রকট হচ্ছে। তারওপর চীন ‍ব্রহ্মপুত্রের উজানে বাঁধ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।’ তাই পানির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এখনই আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানান তিনি। সেজন্য আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার পাশাপাশি দেশের পুকুর, খাল, বিল যতটুকু সম্ভব খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান সোহেল মাসুদ।

এ বিষয়ে মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘অনেক নদ-নদী থাকায় বাংলাদেশের জন্য নদী খনন করে পানি ধরে রাখা অনেক কঠিন। গঙ্গাচুক্তির ন্যায্য পানির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অন্যান্য চুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া জরুরি।’ পাশাপাশি নিজেদের পানির সক্ষমতা বাড়াতে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখা, ওয়াটার রিসাইক্লিং, পানির ব্যবহার কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘এছাড়া নানাদিক হিসাব করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—কীভাবে আমরা আমাদের পানির প্রাপ্যতার সঠিক ব্যবহার করতে পারবো। তা না হলে আমাদের কৃষিতে এর প্রভাব পড়বে’—বলেন তিনি।

মালিক ফিদা আরও বলেন, ‘পানিনিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে শুধু বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা করা সম্ভব না। দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে সরবরাহ কমছে। এই পার্থক্যের কারণেই পানি নিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন আসছে। সেজন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নদীর অববাহিকাভিত্তিক বেসিন ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’

তিস্তা চুক্তি না হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে মালিক ফিদা বলেন, ‘এসব চুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা গেলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।’

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে রাজনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবাই নিজের স্বার্থ দেখে। তাই বাংলাদেশের জন্য যেটা সম্ভব সেটাই এখন করা উচিত। আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টার পাশাপাশি দেশের ভেতরে পানির সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। যেমন- তিস্তাচুক্তি যতদিন না হয়, ততদিন তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।’

এভাবে প্রাণবন্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সারাবাংলার এ পর্বের আয়োজন।

[প্রসঙ্গত, সারাবাংলা ফোকাস সপ্তাহের প্রতি শনি, সোম ও বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সারাবাংলা.নেটের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচারিত হয়]

টপ নিউজ তিস্তা দক্ষিণ এশিয়ার পানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার পানি সংকট পানিচুক্তি সারাবাংলা ফোকাস

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর