Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্বাশুড়িকে গলাকেটে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন


১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২১ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ২১:০৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ছয় বছর আগে শ্বাশুড়িকে গলাকেটে হত্যার দায়ে এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রোববার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার এ রায় দিয়েছেন।

খুন হওয়া সোহাগ খাতুন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। তাদের পুত্রবধূ নাঈমা লিজা ঘটনার পর গ্রেফতার হয়ে এখনো কারাগারে আছেন।

মামলার ও অভিযোগপত্রের নথির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এপিপি রুবেল পাল সারাবাংলাকে জানান, ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহাগ খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা ভাত খেয়ে যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন। রাড় সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবেশ বাদশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাসা থেকে বের হন। এসময় তিনি পাশের ঘরে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান। বাদশা ওই ঘরে উঁকি দিয়ে দেখতে পান, লিজা রক্তাক্ত ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তখন তিনি চেঁচামেচি করে লোকজন জড়ো করেন। ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সোহাগ খাতুনের গলাকাটা লাশ খাটের ওপর পড়ে আছে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লিজাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পরদিন ফজলুল হক বাদী হয়ে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। লিজা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে জানান, প্রতিবেশি দেবর হাফিদুল ইসলাম কফিলের সঙ্গে তার বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। শ্বাশুড়ি বিভিন্নসময় তাদের সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় ও তার স্বামীকে জানিয়ে দেওয়ায় এবং এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তি সৃষ্টি করায় লিজার প্ররোচনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে খুন করেছেন কফিল।

বিজ্ঞাপন

জবানবন্দি ও তদন্তের ভিত্তিতে কফিলের সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর লিজার সঙ্গে তাকেও আসামি করে দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেন।

এপিপি রুবেল পাল জানিয়েছেন, লিজার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। তবে কফিলকে আদালত খালাস দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে যাচাইবাছাই করে উচ্চ আদালতে কফিলকে খালাসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

গলাকেটে হত্যা শ্বাশুড়ি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর