Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্মুখযোদ্ধাদের করোনা ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী


৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৩৪ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৪০

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সম্মুখযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে এলে সম্মুখযোদ্ধাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯-এর টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আমরা দ্রুত টিকা নিয়ে আসতে সব ধরনের চেষ্টা করছি। টিকা আসার পর পরই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রত্যয় জানান। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদে দুই বছর পূর্তি ও তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে তিনি এ ভাষণ দিচ্ছেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আমরা সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু করোনাভাইরাসজনিত সংকট থেকে বিশ্ব এখনো মুক্ত হয়নি।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মহামারি সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ দরিদ্র-অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে বিভিন্ন নীতি-সহায়তা এবং বিভিন্ন উদার-নৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা মোট জিডিপি’র ৪.৩ শতাংশ।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার এখনো প্রণোদনা-সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলেও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় আড়াই কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে আমরা নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে আমাদের জিডিপি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। আমাদের প্রাক্কলন অনুয়ায়ী এ বছর জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ অনুযায়ী জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান হবে এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী শীর্ষদেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ২০২০-এ মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে।

করোনা মোকাবিলায় সবাইকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে আমি আশাবাদ জানিয়ে বলেছিলাম— দেশবাসীর সহায়তায় আমরা এই দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করব। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশবাসী এ দুঃসময়ে আমার এবং আমার সরকারের পাশে ছিলেন। আপনারা আমাদের এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। এ ধরনের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভবিষ্যতেও জনগণ সরকারের পাশে থাকবে— এমন আশাবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অগ্রাধিকার করোনাভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন টপ নিউজ ভ্যাকসিন ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার সম্মুখযোদ্ধা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর