চাহিদা দেশির, ‘বিক্রি হচ্ছে না’ আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ
৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৪
হিলি: দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে সরবরাহ নেই। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমের অজুহাতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাইকারদের। তাই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের গুণগত মান ও চাহিদা ভালো থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা ফারুক হোসেন জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। কারণ দেশি পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখন এসব পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। আর চাহিদা থাকায় দামও বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের।
বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার রাসেদ, মেহেদী হাসান, আলমসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আমদানি কমের অজুহাতে হিলি বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আমাদের লোকসান গুণতে হবে। কারণ বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক কম এবং গুণগত মানও ভালো। তাই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বেলূরী, নাসিক জাতের। এই পেঁয়াজের মান ভালো হওয়ায় বেশি দামে আমাদের কিনতে হয়েছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইদুল আলম জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। চলতি সপ্তাহের গত ৪ কর্মদিবসে ১১টি ভারতীয় ট্রাকে ২৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।