Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেনু হত্যা মামলা: গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১ ফেব্রুয়ারি


৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:৩৬

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় মহিউদ্দিন নামে এক পলাতক আসামির গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ২ ডিসেম্বর ১৫ আসামিদের চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত। ওই সময় মহিউদ্দিন নামে এক আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে দুই জনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এছাড়া মামলায় জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করাবেন বলে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫ শ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একইদিন রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হৃদয় ও রিয়া কারাগারে রয়েছেন। জাফর হোসেন নামের আরেক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় জড়িত থাকা আসামিরা এখন কারাগারে রয়েছে।

রেনুু হত্যা মামলা

বিজ্ঞাপন

‘আরও কঠিন পথ পারি দিতে হবে’
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬

আরো

সম্পর্কিত খবর