রোহিঙ্গা শিবিরের উন্মুক্ত জায়গায় গাছ লাগানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:০৭
ঢাকা: রোহিঙ্গারা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হওয়ায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে যে সব জায়গা খালি হয়েছে সে সব জায়গায় গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। রোহিঙ্গা শিবিরসহ অন্যান্য স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক গাছ লাগাতে বন অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় পরিবেশমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। নিজ দফতর থেকে সভায় অনলাইনে যুক্ত হন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত বন পুনঃসৃজনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
কক্সবাজার জেলায় সবুজবেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিচ্ছিন্নভাবে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদেরই শুধু স্থানান্তর করা হচ্ছে ফলে দৃশ্যমান স্থান এখনও খালি হয়নি। আরও বেশি রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হওয়ার পর জায়গা উন্মুক্ত হলে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে।’
তিনি জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এক হাজার হেক্টর, প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় পাঁচশ হেক্টর বন সৃজন করা হবে। এছাড়াও দেশীয় প্রজাতির দীর্ঘ মেয়াদি বাগান সৃজন কর্মসূচির আওতায় চারশ হেক্টর, ঝাউ বাগান দুইশ হেক্টর, নারিকেল চারা ১২ হাজারটি, শোভা বর্ধনকারী চারা পাঁচ হাজার, স্ট্রিপ বনায়ন ৫ কি.মি, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম সুবিধার উন্নয়ন করা হবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানরাও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় চলমান প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়।