ক্রোয়েশিয়ার ভূমিকম্পে ৭ মৃত্যু
৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৪৭
ক্রোয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ছয় দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ওই ভূমিকম্প প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশেও অনুভূত হয়েছে বলে ক্রোয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
এদিকে, উদ্ধারকর্মীরা মধ্যাঞ্চলীয় পেত্রেইনিয়া ও অন্যান্য শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন । উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেখানে সেনাবাহিনীও পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি, ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবসহ প্রতিবেশী বসনিয়া, সার্বিয়া ও আরও দূরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে স্লোভেনিয়া তাদের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। এই নিয়ে দুই দিনের মধ্যে ওই এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প হল।
এ ব্যাপারে, জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ১১টা ১৯ মিনিটে জাগরেবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের পেত্রেইনিয়া শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত গ্লিনা শহর পরিদর্শনকালে ক্রোয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী টোমো মেদভেদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত গ্লিনা শহরে পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পেত্রেইনিয়ায় ১২ বছরের এক বালিকাসহ মোট ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
পরে দমকল কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা হিনার প্রতিবেদনে জাজিনা গ্রামের একটি গির্জার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরেক জনের লাশ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, পুলিশ জানিয়েছে ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন এবং আরও ছয় জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে – বলেও জানিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, পেত্রেইনিয়া এবং সিসাক শহরে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসাকের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রধান। ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পেত্রেইনিয়ায় গেছেন। সেখানে এখন পর্যন্ত এক মেয়ে নিহত হওয়ার তথ্যই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী সেখানে আছে। শহরটি অনিরাপদ হওয়ায় সেখান থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিসাক শহরের হাসপাতাল প্রধান আহত ২০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টার মধ্যেই পেত্রেইনিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিজ চোখে দেখেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই। ২০ বছর আগে রাশিয়ায় চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি অবরোধের সময়কার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে পেত্রেইনিয়ায় ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞের তুলনা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট।