তাইওয়ান-তিব্বত ইস্যু: যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ চীন
২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৫
অনেক নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে কোভিড প্রণোদনা ও সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন। মার্কিনিরা এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও ক্ষুব্ধ চীন। খবর রয়টার্স।
এর কারণ, ট্রাম্প যে বিলে সই করেছেন সেটিতে ‘দ্য তাইওয়ান অ্যাসুরেন্স অ্যাক্ট – ২০২০’ এবং ‘তিবেতান পলিসি এন্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট – ২০২০’ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ওই দুই অ্যাক্টে দেশ দুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নতুন ওই দুই অ্যাক্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে ওই দুই অ্যাক্টের বিরোধিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, চীন সরকার দৃঢ়ভাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নের স্বার্থ সুরক্ষায় অবিচল আছে।
এদিকে, তাইওয়ানের ওপর চীনের ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রভাব মোকাবিলায় দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলারের অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে।
এর আগেও, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের ওই অস্ত্র চুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।
চীন তাইওয়ানকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। জোর খাটিয়ে হলেও, তাইওয়ানের ওপর আবার চীনা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে বলে বিশ্বাস করে বেইজিং।
কিন্তু, আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সব সময় তাইওয়ানের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, ট্রাম্পের শাসন আমলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
পাশাপাশি, পাহাড় ঘেরা তিব্বতে চীনের কঠোর শাসন ব্যবস্থা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সমালোচনায় পঞ্চমুখ। তাদের অভিযোগ বেইজিং তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সাল থেকে চীন তিব্বতে কঠোর শাসন জারি করে রেখেছে। তিব্বতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাক্টে বলা হয়েছে, তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক গুরু দালাইলামার উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় চীনা কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টপ নিউজ ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ান তিবেতান পলিসি এন্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট - ২০২০ তিব্বত দ্য তাইওয়ান অ্যাসুরেন্স অ্যাক্ট - ২০২০ যুক্তরাষ্ট্র