প্রিজন ভ্যান নয়, মাইক্রোবাসে আদালতে আসবেন সাঈদী
২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৫৭ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:০৩
ঢাকা: মামলার হাজিরা দিতে আর প্রিজন ভ্যান নয়, এরপর থেকে মাইক্রোবাসে করে আদালতে আসবেন জামায়াতে ইসলামির নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে এ আবেদন করলে আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দা হোসনে এ আদেশ দেন।
এদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এ কারণে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীকে।
আদালতে উপস্থিত হয়ে সাঈদীর আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত সময় মঞ্জুর করেন। শুনানির জন্য ১১ জানুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
একইসঙ্গে সাঈদীর আইনজীবীরা আবেদন করেন, মামলায় উপস্থিত হতে সাঈদীকে যেন কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে না এনে মাইক্রোবাসে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে আদালত আসামিপক্ষের এই আবেদনটিও মঞ্জুর করেছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গাজীপুরের কাশিপুর কারাগারে আমৃত্যু কারাদণ্ড খাটছেন জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও আয়কর ফাঁকির মামলারও অন্যতম আসামি তিনি। এই দুই মামলায় হাজিরা দিতে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আসতে হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত তিনি প্রিজন ভ্যানে করে গাজীপুর থেকে ঢাকার আদালতে এলেও পরবর্তী শুনানি থেকে তিনি মাইক্রোবাসে করে আদালতে আসবেন।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয় জন আসামি। বাকি পাঁচ আসামি হলেন— ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।
২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।