রফতানি বহুমুখী করতে সাড়ে ৪শ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৪৮ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৩৫
ঢাকা: দেশের রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাড়ে চারশ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইসি-ফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে রফতানিপণ্য বহুমুখী করতে বৈচিত্র্য, মান ও উৎকর্ষ সাধনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে চারটি টেকনোলজি সেন্টার নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, মিরসরাই, চট্টগ্রামে বিশ্বমানের টেকনোলজি সেন্টার নির্মাণের জন্য বেজার কাছ থেকে ১০ একর জমি বুঝে পাওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) চটগ্রামের মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে বেজা কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রলালয়ের ইসি-ফোরজে প্রকল্পের কাছে ১০ একর জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইসি-ফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেজার যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি কর্তৃপক্ষ ইসি-ফোরজে প্রকল্পের কাছে ৪ দশমিক শূন্য চার একর জমি হস্তান্তর করেছে। বাকি দু’টোর জমিও পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে চারশ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের বাইরে আমাদের রফতানির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে চারটি পণ্যে— চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, প্লাস্টিক গুডস ও হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য।
সচিব বলেন, রফতানের জন্য উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে থাকবে ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক গুডস, ব্যাটারি ও অ্যাকুমুলেটর, বাইসাইকেল, অটোমোবাইলস, পার্টস, ডাই, মোল্ড ও ফাউন্ড্রি। এসব পণ্যের জন্য এক্সপোর্ট লিড প্রযুক্তি ও দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করা হবে।
তিনি জানান, দেশের রফতানি বৃদ্ধির জন্য সরকার এ অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং ব্যবসায়ী মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বেজার মাধ্যমে শিল্প অবকাঠামো উন্নয়নে দেশের সর্ববৃহৎ পরিকল্পিত শিল্প নগরী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, মিরসরাই গড়ে তুলছে। এখানে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বিশ্বমানের এ টেকনোলজি সেন্টারে হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিকস খাতসহ সংশ্লিষ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের শিল্পগুলোর জন্য লাগসই প্রযুক্তিগত সেবা, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক বাজারসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ, প্রয়োজনীয় কারিগরি ও ব্যবসায়িক পরামর্শ সেবাদানের মাধ্যমে দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে রফতানি সক্ষম করে তোলা হবে।
প্রকল্পের সাড়ে চারশ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ৩১৮ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করছে ১৩২ কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে বেজার পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি হস্তান্তর করা হয়।