Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি, লকডাউনের পরিকল্পনা নেই’


২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:০৫ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৫৪

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় নতুন করে লকডাউনের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে‌। এখনো নতুন করে লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের নতুন ধরনের কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে নিয়ে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে। নতুন চিকিৎসা থাকলে সেটাও আমরা গ্রহণ করব। তবে এর জন্য লকডাউনে যাওয়ার মতো পরিবেশ হয়নি। তাই সেই চিন্তা করছি না।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আশকোনার কোয়ারেনটাইন সেন্টারে জিন এক্সপার্ট টেস্ট ও ভ্রাম্যমাণ আরটি-পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে এখন করোনায় আক্রান্তদের সুস্থতার হার ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশের মধ্যে। অন্যদিকে, আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের ঘরে ওঠানামা করছে। একই অবস্থানে আছে মৃত্যুর হার। গত মাসে মৃত্যুর হার একটু বেড়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। কেউ অসুস্থবোধ করলে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু সব হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। বর্তমানে ৭৮টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের অক্সিজেন সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমাদের একটা কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি অব্যাহত রেখেছি। পুনরায় কারখানা চালু না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। তবে যদি তা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা এর সংখ্যা আরও বাড়াব। তবে এখন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের অর্থনীতি ভালো। দেশে সবার সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। নতুন নতুন উন্নয়ন হচ্ছে চিকিৎসা খাতে।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড চিকিৎসায় প্রথমেই টেস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর দিকে দেশে মাত্র একটি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে ১১০টির বেশি ল্যাব রয়েছে। পাশাপাশি আরও আধুনিক টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে কয়েকটি জেলায়। অ্যান্টিজেন টেস্ট সব জেলাতেই করা হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন রয়েছে, যেটা টিবি (যক্ষ্মা) শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে ৩৩টি জিন এক্সপার্ট মেশিন করোনা শনাক্তের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় আরও বাড়ানো হবে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, আশকোনা কোয়ারেনটাইন সেন্টারের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুর রহমান ও ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাইজুর রহমান বক্তব্য দেন।

করোনা নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ কোয়ারেনটাইন সেন্টার লকডাউন লকডাউনের পরিকল্পনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর