প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি মামলায় ৯ আসামির জামিন
১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:২৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলায় ৯ আসামির জামিন আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত ঘোষ শুভ এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন-বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং মেকানিক শাহ আলম।
আসামি নাজমুল হক পূর্বে থেকেই জামিনে আছেন। অপর আসামি সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি। তার জামিনের আবেদন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
গত ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম এক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা ও দণ্ডবিধির ১১৮ ও ১২০(খ) ধারা থেকে সকল আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
তবে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় তিনি আসামি সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক ও শাহআলমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের আবেদন করেন।
২৮৭ ধারায় যন্ত্রপাতি নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ করার শাস্তি বর্ণিত আছে।
২০১৬ সালের ২৭ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজ ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
উড়োজাহাজটি অানুমানিক ২ টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ওড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ গত ২৮ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতা উঠে আসে। গত ২০ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচারক(ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এআই/একে