Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দলবেঁধে কিশোরী ধর্ষণ: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হাইকোর্টে খালাস


১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:০৭ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৫৬

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শামীম, ভিকন, টিকন, তাপস ও রুপ মিয়া।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ ও সাইফুর রহমান রাহি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক রানা। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রায়ের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে আদালত ৫ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন।’

মোজাম্মেল হক রানা বলেন, ‘আদালত তার পর্যবেক্ষণে এই মামলায় আসামি খালাস পাওয়ার কারণ হিসেবে চারটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ১. ভিকটিমকে ধর্ষণের ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। ২. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ২২ ধারায় বাদীর জবানবন্দির সঙ্গে এজাহারের মিল পাওয়া যায়নি। ৩. মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষ সাক্ষী কেউ নেই। ৪. এ মামলায় পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এসব কারণে বাদী হেরে যান।`

এ মামলায় বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক রানা।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় শামীম, ভিকন, টিকন, তাপস ও রুপ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। সেই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সব আসামিকে খালাস দিলেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২০ জুন ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী মা ও দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলার সাতপাটি গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় হোগলা পাকা রাস্তার কুমারখালী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে আসামিরা রিকশার গতিরোধ করেন। এ সময় কিশোরীর মা ও দুলাভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের চলে যেতে বাধ্য করেন। এরপর আসামিরা ভুক্তভোগীকে নির্জনস্থানে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পরের দিন ২০০২ সালের ২১ জুলাই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন নেত্রকোনার বিচারিক আদালত। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা আপিল করেন এবং ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। সেসবের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট পাঁচ আসামিকে খালাস দিলেন।

৫ আসামি খালাস দলবেঁধে ধর্ষণ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

নতুন বছরে টেকনোর নজরকাড়া অফার
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০

চমক জয়া আহসান!
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর