পোশাক খাতে নতুন প্রণোদনার ইঙ্গিত বাণিজ্যমন্ত্রীর
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:২৭ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫২
ঢাকা: পোশাক শিল্প মালিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে নতুন প্রণোদনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিজিএমইএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ছে। সেক্ষেত্রে এই খাতে যে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছিল, তা পুনরায় বিবেচনা করা হতে পারে। আমাদের সবাইকে আবারও চিন্তা করতে হবে যে, হয়তো সাহায্য সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তাদেরকে হয়তো সময় (ঋণ পরিশোধের) বাড়িয়ে দেওয়া লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা সামনের বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাবেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিজিএমইএ আমাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আমরাও এর ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিক এবং জাতীর পিতার শততম জন্মবার্ষিক উপলক্ষে সরকারের এসডিজিকে সামনে রেখে বিজিএমইএ ‘গো হিউম্যান গো গ্রিন’ নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় সাতটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়েছে। ওই প্রতিশ্রুতির উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামান বক্তব্য রাখেন।
বিজিএমইএর সাত প্রতিশ্রুতি হলো: পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন বিজিএমইএ ঘোষিত সাতটি প্রতিশ্রুতি হলো শ্রমিকদের জন্য শিক্ষা, শ্রমিকের সন্তানদের প্রাক শৈশব শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, আর্থসামাজিক ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম, ফ্যাশন বিশ্বে রফতানি পণ্যে ঐতিহ্য উপস্থাপন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা এবং দক্ষতা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশ।
এসব প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে ড. রুবানা হক বলেন, ‘পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে শ্রমিকদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে ৭০ জন নারীকর্মী কারখানা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনির্ভার্সিটি ফর উইমেনে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। এছাড়া কারখানার ডে-কেয়ারে থাকা শ্রমিকদের শিশু সন্তানদেরকে অনলাইন শিক্ষা প্রদানের জাগো ফাউন্ডেশনের সহায়তায় যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ‘মনের বন্ধু’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা আবেগ ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিকভাবে নিজেকে ভালো রেখে কীভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ পাচ্ছেন।